নায়ক ‘অনিল কাপুর’ হতে চান মির্জা ফখরুল!

বলিউডের অনিল কাপুর অভিনিত ‘নায়ক’ সিনেমার মতো এক দিনের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা চাইলেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘হিন্দি সিনেমার নায়কের মতো একদিন ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেখেন না কি অবস্থা হয়!’

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, অবৈধ সাজা বাতিলসহ নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতা করছিলেন তিনি।

এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘আপনারা এমন জায়গায় চলে গেছেন যেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারবেন না। আপনারা চাইলেও আর জনগণের কাছে ফিরতে পারবেন না।’

‘আপনাদের তো এখন আত্মহত্যা করা উচিত,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

৯০’র ডাকসুর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য ওই সমাবেশ আয়োজন করে।

এতে ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সমস্ত স্তম্ভ ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ বিচার পায় না। অধিকার পায় না। কথা বলতে পারে না। অনেকগুলো গণমাধ্যম আছে ঠিকই। কিন্তু কথা বলতে পারে না। কোনো সাংবাদিক সত্য লিখলে হুমকি দেয়া হয়, গুম করে ফেলা হয়। এ সরকার এমন জায়গায় নেমে গেছে যেখান থেকে আর চাইলেও ফিরতে পারবে না।’

‘খালেদা জিয়ার জন্য মানুষ কাঁদে না’ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘তার এমন মন্তব্যে আমি অবাক হয়েছি। তিনি মানুষের মনের অবস্থা জানেন না। কিভাবে রাজনীতি করেন বুঝতে পারছি না। রাজনীতি সচেতন মানুষ কি করে এসব কথা বলেন?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব জানেন না বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ঘরে ঘরে রোজা রাখা হয়। তার জন্য চোখের পানি ফেলেন মানুষ৷ আপনারা অন্ধ হয়ে গেছেন৷ এমন জায়গায় চলে গেছেন আর ফিরতে পারবেন না। আপনারা হুকুমের গোলাম হয়েছেন।

ফখরুল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ ৬০ বছর পেছনে ফিরে গেছে। যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার বিদ্যাপীঠ ছিল তাকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেদনার কিছু হতে পারে না। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা যায় না। আপনারা আদালত কুক্ষিগত করেছেন। প্রশাসন করায়ত্ব করেছেন। মানুষ এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা বলেছেন আমরা যুদ্ধপরাধীদের পতাকা দিয়েছি। তো আপনারা কাকে পতাকা দিয়েছেন? আপনারা তো সবচেয়ে বেহায়া, বেইমান (এরশাদ) কে পতাকা দিয়েছেন। এটা তো আরো লজ্জার।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তবে, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েন করতে হবে। আর সবার আগে খালেদা জিয়াসহ সকল কারাবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে। এটা আমাদের ন্যুনতম দাবি।

আপনাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না তা প্রমাণ হয়ে গেছে, সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।